বগুড়ার রাজা বাজার এলাকার আল-আমিন মসলা মিলে হলুদ ও মরিচ গুঁড়া তৈরিতে কাপড়ের রং এবং ধানের তুষ ব্যবহার করে ভেজাল মসলা উৎপাদনের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে মিলটি বিভিন্ন বাজারে ভেজাল মসলা সরবরাহ করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মিলের ভিতরে প্রবেশ করেই খাদ্য পরিদর্শন টিমের সদস্যরা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় চরম অনিয়ম দেখতে পান। হলুদ ও মরিচ গুঁড়া তৈরির জন্য একাধিক বস্তায় ধানের তুষ (রাইস ব্র্যান) পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশাপাশি মসলার রং বাড়াতে ব্যবহৃত কাপড়ের টেক্সটাইল রং মেশানোর প্রমাণও পাওয়া যায়। এসব রং মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারসহ জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায় বলে জানা যায়।
অপরাধ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মিলের মালিককে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ধারা ৩৩ অনুযায়ী তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভেজাল হলুদ ও মরিচ গুঁড়া এবং ধানের তুষ–সব মিলিয়ে কয়েক বস্তা জব্দ করা হয়।
অভিযানে নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. রাসেলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে জেলায় এমন অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে। জনস্বার্থে এ ধরনের তৎপরতা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:








