ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাসিরাবাদ বালুমহালে সীমানার বাইরে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দশ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন প্রশাসন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এ অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাস। এ সময় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫(১) ধারায় ইজারাদারের পার্টনার ডালিম মিয়া (৩৪)-কে দোষী সাব্যস্ত করে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী।
নাসিরাবাদের ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন পায়েলের মালিকানাধীন মেসার্স সামিউল ট্রেডার্স এই বালুমহালের ইজারা নেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ – ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানটি দিনে-রাতে অতিরিক্ত ড্রেজার ব্যবহার করে সীমানার অনেক বাইরে পর্যন্ত বালু উত্তোলন করে আসছিল।
এতে নদীর তীরবর্তী সোনাবালুয়া ঘাট, এমপি টিলা, নুরজাহানপুর, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইউএনও রাজীব চৌধুরী বলেন, বালুমহাল এলাকায় নির্ধারিত শর্তের বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। এর আগেও সীমানার বাইরে ড্রেজার মেশিন পাওয়ায় ইজারাদারের নয়জন লোককে জেল ও জরিমানা করা হয়েছিল। আজ আবারো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।
স্থানীয়রা জানান, নাসিরাবাদ বালুমহালে দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া ড্রেজিং চলায় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং বসতভিটা বিলীন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। দ্রুত নিয়ন্ত্রণ না আনলে বড় ধরনের পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও তারা বালুমহাল এলাকায় স্থায়ী নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








