বান্দরবানের থানচিতে অবস্থিত নাফাখুম পর্যটন কেন্দ্রসহ সকল দর্শনীয় স্থানের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে থাকা নিবন্ধিত ২ শতাধিক পর্যটক গাইডদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক হয়রানি বন্ধের দাবিতে কর্মবিরতি ও সংবাদ সম্মেলন করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে থানচি উপজেলা পর্যটক পথপ্রদর্শক কল্যাণ সমবায় সমিতির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাব চত্বরে ট্যুরিস্ট গাইড কল্যাণ সমবায় সমিতি নেতৃবৃন্দরা কর্মবিরতি ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।
এতে পথপ্রদর্শক জওয়াইপ্রু মারমা, ব্যবসায়ী মো. হোসেন, জিপ চালক লোকমান হোসেন, হাম বাহাদুর ত্রিপুরা, রাহ কুমার বিশ্বাস, সাশৈথোয়াই মারমা, আমির আলী, বৌদি আলম, রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে বলা হয়, থানচি উপজেলা নাফাখুম পর্যটন কেন্দ্রসহ সকল দর্শনীয় স্থান আগামী ডিসেম্বর মাসের শুরুতে উন্মুক্ত করা এবং জেলা উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাইডদের বিজিবি চেকপোস্টে অযৌক্তিকভাবে হয়রানি বন্ধ করা। তারা বলেন, করোনাকালীন সময় থেকে দীর্ঘ বছর ধরে নাফাখুমসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকার কারণে স্থানীয় পর্যটননির্ভর জনগোষ্ঠী চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। সীমিত পরিসরে তিন্দু পর্যন্ত খোলা হলেও পর্যটকদের সেখানে রাত্রিযাপন ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের অনুমতি না থাকায় নিবন্ধিত গাইডদের তারা তাদের সাথে নিতে চায় না। কিন্তু নিষিদ্ধ দর্শনীয় এলাকায় একাকী ভ্রমণের গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হচ্ছে। অথচ গাইড সাথে থাকলে এসব এড়িয়ে চলা যেত।
তারা আরও বলেন, আমাদের জীবিকার প্রধান উৎস পর্যটন বন্ধ থাকায় আমরা মানবেতর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি। তাদের অভিযোগ, বিজিবির চেকপোস্টের ব্যবহার-অযোগ্য লাইফ জ্যাকেট ও নৌকা ভাড়া নেওয়া, প্রশাসন কর্তৃক নিবন্ধিত গাইড কার্ড জব্দ করা, অযাচিত খারাপ আচরণ, গাইড ছাড়া পর্যটকদের ভ্রমণে পাঠানো, অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদ, চলাচলের বাধা ও প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করে তাদের কাজের পরিবেশকে কঠিন করে তুলেছে। দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকায় শুধু গাইডই নয়, নৌকা চালক, হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী, পরিবহন কর্মীসহ হাজার হাজার পরিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমে পর্যটন কার্যক্রম সহজে নিরাপদভাবে চালু রাখা সম্ভব। এ সময় তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এসব সমাধান করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।
আরও পড়ুন:








