বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ও মানিকপুর এলাকায় গড়ে তোলা অবৈধ ২৮টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার সময় পথে কক্সবাজারের চকরিয়ার মানিকপুর অংশে তাদের অবরুদ্ধ করে ইটভাটা সংশ্লিষ্ট মালিকসহ প্রায় কয়েকশত জনতা। এসময় তারা ভ্রাম্যমান আদালত, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিজিবির উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠি চালালে পুলিশের সাথে ইটভাটা মালিক ও তাদের শ্রমিক, স্বজনদের সাথে সংর্ঘষ শুরু হয়। এঘটনায় পুরো এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ও মানিকপুর এলাকায় গড়ে তোলা হয় ২৮টি অবৈধ ইটভাটা। হাইকোর্টের নির্দেশে এসব ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানে যায় লামা উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতায় ছিল ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা।
ভ্রাম্যমান আদালতের দলটি ফাইতং ও মানিকপুর যাওয়ার প্রবেশ পথে কক্সবাজারের চকরিয়ার পাগলীর আগা এলাকায় শত শত ইটভাটা সংশ্লিষ্ট লোকজন তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
এসময় তারা ভ্রাম্যমান আদালত, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিজিবির উপর হামলা চালালে এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠি চালায়। এসময় পুলিশ ও বিজিবির সাথে ইটভাটা সংশ্লিষ্ট লোকজনের সাথে সংর্ঘষ শুরু হয়।
পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় ইটভাটা সংশ্লিষ্ট লোকজন ভ্রাম্যমান আদালত, পুলিশ ও বিজিবির ৬টি গাড়ি ভাংচুর করে। এঘটনায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যসহ ৫৭ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ হামলাকারীকে আটক করেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে অভিযান না চালিয়েই ফিরে আসতে বাধ্য হয় ভ্রাম্যমান আদালতের টিম।
বান্দরবান পুলিশ সুপার মো: শহিদুল্লাহ কাওছার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। পুরো ঘটনার বিস্তারিত জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, বিস্তারিত এখনই বলা যাচ্ছেনা। আগে তারা ফিরে আসুক, তখন খবর নিয়ে বলতে পারবো।
আরও পড়ুন:








