নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের আলমপুর–দিঘলী এলজিইডি সড়কে দিঘলী মোড় থেকে জিলু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার পাশে থেকে ৩১টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এসব গাছের বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক লাখ টাকা বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জিলু মিয়া, নুরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, সাত্তার মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, আলাল উদ্দিন, মগল মিয়া ও খোদেজা বেগমের জমির পাশ ঘেঁষে থাকা সরকারি প্রকল্পে রোপিত এসব গাছ কাটা হয়।
দিঘলী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দিনের বেলা গাছ কেটে রাতে গাড়িতে করে পরিবহনের সময় কয়েকটি গাড়ি ও গাছের অংশ স্থানীয়রা আটক করেন। তারা জানান, কয়েক বছর আগে সরকারিভাবে রাস্তার পাশের জায়গায় এসব গাছ রোপণ করা হয়েছিল এবং গাছ বিক্রির সময় স্থানীয়দের একটি অংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু তাদের না জানিয়ে মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান ভূঞা সুমন গাছগুলো কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। সরকারি জায়গার গাছ কাটতে হলে টেন্ডার, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের অনুমোদনসহ একাধিক প্রক্রিয়া অনুসরণের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হয়নি বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে মাসকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ঠিকাদার রেজাউল হাসান ভূঞা সুমন বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তা দ্রুত পাকাকরণ করার স্বার্থে গাছগুলো কাটা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে দুই-আড়াই বছর সময় লাগে, কিন্তু রাস্তা নির্মাণের সময় থাকে মাত্র এক বছর। তাই নিজ খরচে গাছ কেটে শিমুলতলা বাজারে স্তুপ করে রেখেছি। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তারা টেন্ডার বা নিয়ম অনুযায়ী বিক্রির ব্যবস্থা নেবে
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার বলেন, মাসকা দিঘলী জিপিএস থেকে মাছিয়ালি গুচ্ছগ্রাম পর্যন্ত এলজিইডি রাস্তা পাকাকরণ করা হবে। এজন্য গাছ কাটার প্রয়োজন রয়েছে। তবে ঠিকাদারের উচিত ছিল কর্তৃপক্ষকে অবগত করে নিয়ম মেনে গাছ কাটা।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, মাসকা ইউনিয়নের আলমপুর-দিঘলী এলজিইডি রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টি বন বিভাগকে আবগত করা হয়েছে ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:








