চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূল থেকে মাছ ধরতে গিয়ে ঘন কুয়াশায় পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়া একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ২৬ জেলেকে আটক করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। শনিবার রাতে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা উপকূলে ট্রলারটি আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ জেলেদের পরিবার ও ট্রলারের মালিক।
ট্রলারটির মালিক বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুক্রবার সকালে এফ বি মায়ের দোয়া নামের ট্রলারটি ২৬ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে সাগরে যায়। 'শনিবার রাতে আমরা জানতে পারি, ঘন কুয়াশার কারণে দিকভ্রান্ত হয়ে ট্রলারটি ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়ে এবং কোস্টগার্ড সেটি আটক করেছে। পরে জানতে পারি জেলেরা এখন ফ্রেজারগঞ্জ থানায় রয়েছে।'
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ থানায় সাধারণ ডায়েরি হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, 'পরিবারের পক্ষ থেকে অবহিতকরণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে।'
আটক জেলেদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া-মহেশখালী-পেকুয়া এবং লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে। তাদের মধ্যে বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের মো. আলী চাঁন, মো. জিয়াউল হক, মো. ইউসুফ, মো. জোবাইর ও ওসমান গণির পরিচয় পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার রেজাউল করিম, আবু তাহের, ছরওয়ার হোসেন, মিরাজ উদ্দীন, মামুনুর রশীদ, ছৈয়দ নূর, শওকত আলম, মো. ইলিয়াস, মারুফুল ইসলাম, ফারুক, একরাম ও নূর মোহাম্মদ রয়েছেন। তালিকায় আরও আছেন মহেশখালীর আজিজুর রহমান ও মুজাম্মেল হক, পেকুয়ার মোহাম্মদ আজিজ এবং কমলনগরের মো. হাসান। ট্রলারের বাকি পাঁচজনের নাম এখনো জানা যায়নি।
আটক হওয়া জেলেদের দ্রুত দেশে ফেরত আনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাদের স্বজনরা। পরিবারের সদস্যদের অনেকে বলেন, 'সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে তারা। এখন দেশে ফেরার জন্য সরকারের দ্রুত উদ্যোগ প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন:








