সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ঝিনাইদহে প্রধান শিক্ষককে ‎সাত বছরে সশ্রম কারা দন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৫

শেয়ার

ঝিনাইদহে প্রধান শিক্ষককে ‎সাত বছরে সশ্রম কারা দন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড
ছবি: সংগৃহীত

জাল সনদে চাকরি, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে ঝিনাইদহের এক প্রধান শিক্ষককে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদন্ড করেছে ঝিনাইদহের একটি বিচারিক আদালত।

‎বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারক মোঃ মাসুদ আলী এই রায় ঘোষনা করেন।

দন্ডিত ব্যক্তি হলো রনি আক্তার। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর নারায়নপুর পুটিয়া গ্রামের নরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় গোয়ালপাড়া অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক।

‎২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার, রণি আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও জাল সনদ দিয়ে চাকরী করার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমান শেষে অভিযোগ সত্য প্রমানিত হয় উল্লেখিত রায় প্রদান করেন। সরকারি পক্ষে এ্যাড এ এস এম রাকিবুল হাসান ও আসামীর পক্ষে তারিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, আসামী রনি আক্তার গোয়ালপাড়া অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জাল জালিয়াতী চক্রের সদস্য হওয়ায় তার শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ পত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করে তাহা সঠিক বলে বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছিলেন। চাকরী করার সুবাদে তিনি নিয়োগ বানিজ্যসহ স্কুলের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর আসামী রনি আক্তার তার সরকারী বেতন ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তার শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেন। আসামীর দাখিলকৃত শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদসহ অন্যান্য কাগজ পত্র যাছাই বাছাই অন্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃকপক্ষ ভুয়া ও জাল বলে প্রমানিত হয় এবং তার সরকারী বেতন ভাতা বাতিল করে। আসামী উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়কৃত টাকা ও কাগজপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে ২০২৪ সালের ৯ আগষ্ট বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী রণি আক্তার উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।



banner close
banner close