চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙানোকে কেন্দ্র করে উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুরে জামায়াত সমর্থক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে এক নারী ইউপি সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে।
আহতদের উদ্ধার করে নারী ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, আহত হয়ে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছে কুমারী ইউপির সংরক্ষিত (১, ২, ৩) ওয়ার্ডের সদস্য রোকসানা খাতুন (৫০), তার স্বামী ও ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম (৫৫),উভয় দলেরে পাঁচজন।
উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দুজনের মাথায় আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন জানান, প্রতিবেশী জামায়াত সমর্থক মাসুম তাদের বাড়ির পাশে জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লা টাঙাচ্ছিলেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তিনি তা সরাতে অনুরোধ করলে কথাকাটাকাটি শুরু হয়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়।
অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের সদস্য শাহাজাহান বলেন, তারা একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের বিএনপির সমর্থক মনে করে ২০-৩০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে।
তবে, আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল দাবি করেন, দাঁড়িপাল্লা টাঙাতে গেলে বিএনপির ইউপি সদস্য ও তার স্বামী বাধা দেন। তর্কাতর্কির পর উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীরাই জামায়াতের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন অভিযোগ করেন, জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক যুবলীগের নেতা ওল্টুর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙানো নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধ দ্রুতই দুই রাজনৈতিক পক্ষের সংঘর্ষে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
আরও পড়ুন:








