বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

শেকৃবিতে ‘রিজেনারেটিভ এগ্রিকালচার’ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক, গবেষণা জোরদারে এমএইউ স্বাক্ষর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৭

শেয়ার

শেকৃবিতে ‘রিজেনারেটিভ এগ্রিকালচার’ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক, গবেষণা জোরদারে এমএইউ স্বাক্ষর
ছবি: বাংলা এডিশন

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ‘রিজেনারেটিভ এগ্রিকালচার: উৎপাদনশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত দুই ঘণ্টাব্যাপী এ আলোচনায় নীতিনির্ধারক, গবেষক, কৃষিবিদ ও বিভিন্ন অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে শেকৃবি ও বায়ার ক্রপ সায়েন্সের মধ্যে একটি এমএইউ স্বাক্ষরিত হয়।

বায়ার ক্রপ সায়েন্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই গোলটেবিল আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে পুনর্জননশীল কৃষি ও কার্বন-হ্রাসকারী চাষাবাদ এর প্রসার ঘটানো।

আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেকৃবির কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং বায়ার ক্রপ সায়েন্সের রেজাউল করিম। তারা কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া নীতিমালা প্রণয়ন, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা, কৃষক সহায়তা, যুব সমাজকে কৃষিতে সম্পৃক্ত করা এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়।

বক্তারা উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তন, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও পানিসঙ্কট—এসবই বাংলাদেশের কৃষিখাতে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে পুনর্জননশীল কৃষি এসব সংকট মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সভায় আরও আলোচনা হয়—নির্দিষ্ট ধান বপন পদ্ধতির মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি ও পরিবেশগত চাপ কমানোর উপায়, ভুট্টাকে জৈবজ্বালানি ও পশুখাদ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে আমদানি নির্ভরতা কমানোর সম্ভাবনা, তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষিতে সম্পৃক্ত করা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার বিষয় নিয়ে।

এছাড়াও পুনর্জননশীল কৃষির ধারণা, ধান চাষে কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রযুক্তি, ভুট্টা উৎপাদন ও জৈবজ্বালানির সম্ভাবনা, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং প্রযুক্তিবান্ধব কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির নানা দিক আলোচনা করা হয়।

গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, বায়ার ক্রপ সায়েন্সের এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান মালু নাকরেইনার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম এম তারিক হোসাইন, বাকৃবি’র ড. আসাদুজ্জামানসহ কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



banner close
banner close