চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গভীর রাতে দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার খইয়াছড়া ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মাছিমেরতালুক এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্য সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতদল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে শিশুদের গলা চিপে ধরে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে জিম্মি করেছে৷ ঘরের কর্তা সেনাসদস্য সুফিয়ানকে পরনের লুঙ্গি দিয়ে হাত মুখ বেঁধে রাখে। শিশু দুইজন কান্না করায় গলা চিপে ধরলে ছেলের বউ দুজন চিৎকার দিলে তাদের থাপ্পড় দেয়৷এরপর তাঁদের বেঁধে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সার্জেন্ট আবু সুফিয়ান বলেন, আমার দুইজন ছেলে চাকরি সুবাদে শহরে থাকেন৷ ঘরে আমার দুই ছেলের বউ দুই নাতি আর আমার সহধর্মিণী ছিলেন৷ ডাকাতদল রাত দেড়টা নাগাদ দরজার তালা ভেঙ্গে আমার রুমে ঢুকে কিছু বুঝে উঠার আগে আমার পরনের লুঙ্গি দিয়ে আমার হাত বেঁধে ফেলে৷ পাশের রুম থেকে আমার ছেলের বউ নাতিদের শব্দ শুনতে পাই৷
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ডাকাতদলের সদস্য আমার দুই নাতির গলা চিপে ধরলে ছেলের বউরা চিৎকার দিলে তাদের বেধড়ক চড় থাপ্পড় ও মারধর করে৷ কানের দুল জোর করে নেয়ার জন্য প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয় ছেলের বউ৷ তারা আমার পরিবারের সদস্যদের ১০ ভরি স্বর্ণ, ২৫ হাজার ৭০০ টাকা, চারটি মুঠোফোন নিয়ে যায়৷ ঘরের ভেতর সাতজন ডাকাত প্রবেশ করলেও বাইরে আরও কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার সবার রুমের বন্ধ করে দিয়ে যায় কিন্তু আমার স্ত্রী রুমের দরজা খোলা ছিল৷ সে সবার দরজা খুলে পুরান বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই৷
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনা শোনা মাত্র রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি৷ মৌখিকভাবে সকল তথ্য নোট করে নিয়েছি৷ সকালেও পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷ এখনও এ বিষয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:








