বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

পাবনায় ভাগবাঁটোয়ারা না হওয়ায় বিএডিসির খড় পুড়িয়ে ছাই

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৯

আপডেট: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৬

শেয়ার

পাবনায় ভাগবাঁটোয়ারা না হওয়ায় বিএডিসির খড় পুড়িয়ে ছাই
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে ভাগবাঁটোয়ারা না হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সরকারি লাখ লাখ টাকা মূল্যের খড় পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ ও হতাশ স্থানীয় গো খামারিরা। তবে বিএডিসি কর্তৃপক্ষের দাবি জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য খড়গুলো পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।

বিএডিসি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএডিসি) গবেষণা জন্য প্রায় তিন শতাধিক একর জমিতে ধান চাষ করা হয়। এইসব ধান কাটার পর বিপুল পরিমাণ খড় হতো। এসব খড় পরে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিলামে বিক্রি হয়। প্রতিবছর ৭-১০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। কিন্তু এবার তা হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা না হওয়ায় খড়গুলো পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই আয়টা ছিলো খামারের নিয়মিত আয়ের একটি স্থায়ী উৎস। আশপাশের লোকজন আবার কিছু অংশ লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন। আর মাঠের পর মাঠ ধরে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে খড়।

এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কর্মচারীরা। তবে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বন্দ্ব ও কর্মকর্তাদের অনিহার কারণে এই সব খড় পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।

আর বিএডিসির আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি বছর নিলাম হতো বা সমঝোতার মাধ্যমে এইসব খড় একর প্রতি ৮-১০ হাজার টাকা বিক্রি হতো। কিন্তু এবার স্থানীয় প্রভাবশালীরা একেকজন ৪-৫ একর করে ফ্রি দাবি করেন। কেই একর প্রতি ২-৩ হাজার টাকা দিতে চায়। ফলে কর্মকর্তারা নিজেদের ভাগবাটোয়ারা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। এজন্য বিএডিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিটিং করে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রথমে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাননি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), টেবুনিয়ার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এস এম মাহবুব-অর-রশিদ। পরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বললেও তার দাবি কিছুটা ভিন্ন। তার দাবি, উপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে খড় পুড়িয়ে সার হিসেবে ব্যবহার করতে। পুড়িয়ে ফেলা খড়ের ছাই নাকি জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।



banner close
banner close