সাংবাদিক ফেরদৌস হাসানের বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী আশানুর বিশ্বাসের দায়ের করা মোট ১০ কোটি টাকার দুইটি মানহানি মামলা খারিজ হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলাদুটি খারিজের নির্দেশ দেন। বিষয়টি সোমবার নিশ্চিত করেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা।
ফেরদৌস হাসান এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সিরাজগঞ্জ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং বেলকুচি উপজেলার ওহী এন্টারপ্রাইজ (ডিস কেবল টিভি নেটওয়ার্ক)-এর স্বত্বাধিকারী।
আদালতের নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ফেরদৌস হাসানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। একই দিনে তার স্ত্রী আশানুর বিশ্বাস, যিনি বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র, আরও ৫ কোটি টাকার আরেকটি মানহানির মামলা করেন।
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর মামলাগুলোর বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর বাদীপক্ষ কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। আদালত সূত্রে জানা যায়, ৬৩ মাসে বাদী পক্ষ মাত্র একবার আদালতে উপস্থিত হন এবং সাক্ষীর জন্য সময় প্রার্থনা করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে আদালত প্রমাণের অভাবে মামলাদুটি খারিজের সিদ্ধান্ত দেন।
নথিতে আরও উল্লেখ রয়েছে, ফেরদৌস হাসান ২০০১ সাল থেকে বেলকুচি পৌর এলাকা ও উপজেলায় কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কেবল লাইন দখল ও গ্রাহক বিল আদায়সংক্রান্ত আর্থিক বিরোধের প্রেক্ষাপটে লতিফ বিশ্বাস দম্পতির সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের ধারাবাহিকতায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল।
রায়ের ফলে ফেরদৌস হাসান আইনি বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পেলেও বিষয়টি নিয়ে তিনি ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








