জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ফাঁসির রায়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলায় জেলায় হয়েছে মিষ্টি বিতরণ। আনন্দ মিছিল।
হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোমবার বিকেলে শহরের রেলগেইট স্টেশন সংলগ্ন বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে ও পাঁচুর মোড় থেকে আলাদা আরেকটি মিছিল বের করে তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এদিন শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে ইন্দারা মোড়ে এসে শেষ হয়েছে মিছিল। এসময় ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট না বলে জানান জুলাই যোদ্ধারা।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বগুড়ায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেন জুলাই শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত সদস্যরা। এসময় আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সকাল থেকেই সিলেট নগরের চৌহাট্টার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেন সিলেটের এনসিপির নেতারা। রায় ঘোষণার পর নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মিষ্টি বিতরণ করে তারা। বিকেল সিলেট জেলা ও মহানগর এনসিপির ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা।
ফরিদপুরে আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নাটোর, পাবনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মিষ্টি বিতরণ করে রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
এর আগে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির বিরুদ্ধে একযোগে মাঠে নেমেছিলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে ঘিরে শাটডাউন ঘোষণার পরপরই নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে পাল্টা কর্মসূচি নেয় বিএনপি। নারায়ণগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির বিরুদ্ধে মাঠে তৎপর ছিলো বিএনপি নেতাকর্মীরা।
জনসাধারণের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিলো আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। জনসাধারণের স্বস্তিতে ফরিদপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কঠোর অবস্থানে ছিলো পুলিশ।
আরও পড়ুন:








