মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে নববধূকে দেখতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতার ওপর যুবলীগের হামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৪২

শেয়ার

ফরিদপুরে নববধূকে দেখতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতার ওপর যুবলীগের হামলা
ছবি: বাংলা এডিশন

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পারিবারিক একটি বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক ফিরোজ মোল্লা হামলার শিকার হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় ফিরোজের একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ওহিদ মোল্লার বিয়ের নববধূকে দেখতে যান ফিরোজের মা ও ভাবি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফিরোজের ভূমিকার কারণে তাদের অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। বিষয়টি জানার পর সন্ধ্যায় ফিরোজ বাড়িতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

একপর্যায়ে ওহিদ মোল্লা, জাহিদ মোল্লাসহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র—রামদা, লোহার শাবল, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি নিয়ে ফিরোজের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা ফিরোজের চোখ তুলে ফেলারও চেষ্টা করে।

ফিরোজের চিৎকারে তার চাচাতো ভাই আবুল বাশার, মা ও ভাবি এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। ফিরোজ জানান, তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে ওহিদ মোল্লা রামদা দিয়ে বাশারের মাথায় আঘাত করে—যা গুরুতর জখমের সৃষ্টি করে। একই সময়ে ফিরোজের মা ও ভাবিকে মারধর করার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং তাদের পরিহিত স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় দুই লাখ ৩২ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ ঘটনায় আহত ফিরোজ মোল্লা সাত জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



banner close
banner close