বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা না গেলে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি বাঁধাগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, দেশের মোট দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের ৩২ শতাংশই পাঁচ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী। এদের মধ্যে রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। কিন্তু সড়কে প্রাণহানির কারণে আমরা সেই সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলছি।
শনিবার বেলা ১১টায় খুলনা সার্কিট হাউজে খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ড প্রদত্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশ। সঞ্চালনা করেন বিআরটিএ খুলনা বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর উপ-পরিচালক (ইঞ্জি.) তানভীর আহমেদ, খুলনা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) উসমান সরওয়ার আলম, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) লায়লাতুল মাওয়া, মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা মোটর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাবুল হোসেন, ইয়াসিন মোল্লা এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহিদ খান। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ফজলুল হক মনি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের স্ত্রী সানজিদা ইয়াসমিন সেতু ও মোসা. আকলিমা এবং বাগেরহাটের রিক্তা পারভিন ও মনোয়ারা বেগমকে প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কোনো একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কারণে ঘটে না। দুর্বল সড়কব্যবস্থা, অদক্ষ চালক, পথচারীর অসচেতনতা এবং আইন অমান্য সব মিলেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:








