সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে সংগঠিত প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চরটেংরাইল গ্রামের ফিরোজ উদ্দিন, যিনি বর্তমানে সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত, এবং তার শ্যালক রাশিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বেকার যুবকদের লক্ষ্য করে প্রতারণার চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক জানান, বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক চেক, নগদ অর্থ এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে ফিরোজ ও রাশিদুল তার কাছ থেকে মোট ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে চাকরির নথিপত্র হিসেবে তাকে নিয়োগপত্র, পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং পদায়ন আদেশ দেওয়া হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণে যোগ দিতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নথিগুলোকে জাল বলে জানায়।
প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর মালেক টাকা ফেরত চাইলে সালিশের নামে সময়ক্ষেপণ শুরু হয়। স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও প্রতারণার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া সত্ত্বেও সমাধানের কোনো অগ্রগতি হয়নি। সালিশের চলমান প্রক্রিয়ায় প্রতারকদের পক্ষে সময় বাড়ানোর অভিযোগও ওঠে।
মালেক জানান, সালিশে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এক পর্যায়ে তাকে ১০টি চেক দেওয়া হলেও ব্যাংক জানায়— সব চেকের স্বাক্ষর জাল।
এ ঘটনায় তিনি জেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও বিষয়টি অবহিত করেন। তাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তাধীন বলে জানানো হয়।
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:








