জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী শক্তিই আগামীর বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তিই ১৯৭২ সালের সংবিধান এনেছিল। ১৯৯০ সালের বিজয়ী শক্তি দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছিল। ঠিক তেমনি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ী শক্তিই নির্ধারণ করবে আগামীর গণভোট কেমন হবে। জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী শক্তিই আগামীর বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণ করবে।’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে জাতীয় জাগরণের কবি গোলাম মোস্তফার জন্ম ও মৃত্যুদিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। কবির পৈতৃক ভিটায় এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সত্ত্বার নাম। সেই নিষিদ্ধ সত্ত্বার নামে যেকোনো কর্মকান্ড ও কর্মসূচিই অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। গণহত্যার মামলার রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আইনগতভাবে মোকাবিলা করবে।
আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে দাবি করে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী শক্তিগুলো আগামীর বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণ করবে। আগামী নির্বাচনে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
অনুষ্ঠানে কবি গোলাম মোস্তফা সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কবি গোলাম মোস্তফা জাতীয় জাগরণের কবি। তার লেখা কাব্যগ্রন্থ ও লেখনীতে বাঙালি মুসলমানের জীবনদর্শন, চেতনা ও সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। কবি গোলাম মোস্তফার সৃষ্টিকর্ম চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সংগ্রাম, অধিকার, ঐতিহ্য ও সাম্যবাদী চেতনা সমুন্নত রাখতে পারবে।
এর আগে জাতীয় সংগীত, কুরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। পরে আগত অতিথিদের উত্তরীয় ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। কবি গোলাম মোস্তফার স্মরণে অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফিরোজ খান নূন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মিয়া মোশাররফ হোসেন এবং কবি গোলাম মোস্তফার সন্তান, বরেণ্য চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, রাজউকের সদস্য ও যুগ্ম সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন এবং শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস।
আরও পড়ুন:








