কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল মধুনগর এলাকায় ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমির ফিশারী দখলের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের একটি হোটেলের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন রনি এ অভিযোগ করেন অস্ত্রধারী বাহিনী দিয়ে দখলচেষ্টা চলছে।
লিখিত বক্তব্যে রনি জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের ফিশারী জবরদখলের উদ্দেশ্যে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এই বাহিনীকে স্থানীয় মো. মোশারফ হোসেন সবুজের ইন্ধনে ভাড়া করা হয়েছে।
বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন রুবেল মিয়া ও তার ভাই সোহেল রানা, যাদের সহযোগী প্রায় ৩০–৩৫ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি প্রতিদিন ফিশারীর পাড়ে অবস্থান নিয়ে পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রনি আরও জানান, রুবেল বাহিনীর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ডাকাতি, হামলা, মাছ চুরি, জমি দখল ও মাদক কারবারসহ একাধিক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। এমনকি বিকাশ কর্মী অপহরণ মামলারও আসামি এই বাহিনীর সদস্যরা।
তিনি অভিযোগ করেন, এত অপরাধ করেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
রনি দাবি করেন, স্থানীয়ভাবে জানা যাচ্ছে যে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল করিম খান চুন্নু এবং তার ছোট ভাই শাহিন করিম এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পেছনে রয়েছেন। রনি বলেন, আমি নিজে গুলশানে গিয়ে রেজাউল করিম খানকে বিষয়টি জানাই। তিনি অস্বীকার করলেও শাহিন করিম দেশে ফেরার পর থেকেই হামলা বাড়ে।
তিনি আরও জানান, শাহিন করিম এক ‘উকিল দরবারে’ তাদের চাচা শাহাব উদ্দীনকে প্রকাশ্যে মারধর করেন, পরে তাদের ভাই ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়। সর্বশেষ ২৯ অক্টোবর তাদের চাচা শাহাব উদ্দীন ও চাচাতো ভাই পরাশ উদ্দীন রাকিবের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় রুবেল বাহিনীর সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে রনি বলেন, “আমাদের পরিবার এখন সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই বাহিনী প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, রেজাউল করিম খান চুন্নু মনোনয়ন পেলেই ফিশারী ভরাট করে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে। আমরা দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও জানমালের নিরাপত্তা চাই।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জেরে মারামারির ঘটনা ঘটে, মামলাও হয়েছে। কয়েকজন জামিনে, আবার কয়েকজন পলাতক রয়েছে তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, বিকাশ কর্মী অপহরণ মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় এ বিষয়ে এখন বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন:








