"জীববৈচিত্র্য রক্ষা করি, চায়না দুয়ারী বন্ধ করি" এই স্লোগানকে সামনে রেখেই মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল বিলের জলজ প্রাণী রক্ষায় চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল বন্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে।
১২ নভেম্বর (বুধবার) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আন্ধারমানিক ঘাটের পদ্মাপাড়ে বেসরকারি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বারসিক ও গ্রীণ কোয়ালেশনের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বারসিকের প্রোগ্রাম অফিসার মো. মুকতার হোসেন, সত্যরঞ্জন সাহা, গ্রীণ কোয়ালেশনের সদস্য সুনীল বিশ্বাস, সোলায়মান হোসেন, লিলি বেগম ও মৎস্যজীবী রামু হালদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তৃতারা বলেন, চায়না দুয়ারী শুধু মাছ ধরার জালই নয়, মাছ ও জলজ প্রাণী নিধনের একটি মরন ফাঁদ। এই চায়না দুয়ারী ছোট মাছ, বড় মাছ, পোনা মাছ, ব্যাঙ , কুইচামাছ, গুই সাপ, সাপ, কাকড়া,শামুক সহ বিভিন্ন জলজ প্রানী এই জালে আটকা পড়ে। যা একবার ঢুকলে আর বের হওয়ার সুযোগ থাকে না। এতে দেশীয় জাতের মাছ, জলজ উদ্ভিদ, প্রাণী বৈচিত্র্য সামগ্রিকভাবে মাছের প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। এমন কি এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকি সম্মুখীন হচ্ছে।
বক্তরা আরও বলেন, চায়না দুয়ারী জালে একবার কোনো মাছ বা জলজ প্রাণী প্রবেশ করলে, তার আর বের হওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে মাছ শিকারীরা প্রয়োজনীয় মাছ রেখে বাকি সব জলজ প্রাণীকে ধ্বংস করে ফেলে। পোনা এবং ডিম ধারণকারী মাছের ক্ষতি করে। এই জাল খুবই সুক্ষ হওয়ায় মাছের ডিম, পোনা এবং ছোট মাছও এর ফাঁদে আটকা পড়ে। এর কারণে মাছ বংশবৃদ্ধি করতে পারে না, যা মাছের প্রজনন ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ব্যহত করে এবং মাছের সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে দেয়। এর ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ জীব বৈচিত্র্য হুমকি সম্মুখীন হয়ে পরেছে বল বক্তরা দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে এই চায়না দুয়ারী বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মৎস্য অফিস, হরিরামপুর থানা ও উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় বলেও জানা যায়।
বারসিকের কর্মসূচি সমন্বয়কারী নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্তিত ছিলেন স্থানীয় নারীপুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
আরও পড়ুন:








