স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেড়িয়ে গেলেও পাকা করন হয়নি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের নলুরা গ্রামের প্রধান রাস্তাটি।
কয়েক যুগ থেকে কাঁচা রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে পুরো গ্রামবাসীকে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভাল না হওয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বর্ষার মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাস্তাটি, বছরের ছয় মাস পানির নিচে তলিয়ে তাকা রাস্তার কাঁদা শুকাতে চলে যায় শুকনো মৌসুম,পুরো বছরই কাঁদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় প্রায় এক হাজার মানুষের।
একটি মাত্র রাস্তা পুরো গ্রামের সংযোগ সড়ক হওয়াতে কাঁদার মধ্য দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করেন স্থানীয় বাজার,স্কুল কলেজ,মসজিদ মাদরাসা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বিশেষ করে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী বৃদ্ধ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রোগীরা।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন কয়েক বছরে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে কাঁচা রাস্তায় পাকা করনের দাবি জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা পাকা রাস্তা করে দেওয়ায় প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই করেন না।
গ্রামবাসীর দাবি কাঁচা রাস্তাটি মাটি ভরাট ও পাকা করে চলাচের উপযোগী করা এতে গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে
নলুরা গ্রামের কাজল দেবনাথ বলেন শুদু বর্ষা নয় শুকনোর মৌসুমেও আমাদের এই রাস্তায় কাঁদা ও পানি থাকে এই যুগে এসেও আমাদের সাঁকো ব্যাবহার করে চলাচল করতে হয়। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে হিমশিম খেতে হয় পুরো গ্রামবাসীর। অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবি জানান তিনি।
প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী রুপা ও অশেষ দাস,জানান পুরো গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি মাটি ভরাট ও পাকা না হওয়াতে কাঁদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে রাস্তাটি, নিয়মিত ক্লাস করতে না পারায় পড়ালেখায় ঘটে ব্যাগাত। দ্রুত রাস্তাটি পাকা করলে দুর্ভোগ থেকে বাঁচবে পুরো গ্রামবাসী।
দোয়ারাবাজার উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হামিদ জানান রাস্তাটি সরেজমিনে দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন:








