পটুয়াখালীর বাউফলে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে থানায় যৌন নিপীড়ন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার)।
এর আগে সকাল থেকে ধুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা দিনভর বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মো. ইমরান (২৫)-এর ‘অভিরুচি স্টুডিও’ নামের দোকানটি বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ইমরান ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী হিসেবে এলাকায়।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংলগ্ন অভিরুচি স্টুডিওতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হয় বলে অভিযোগ করেছেন সহপাঠীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, সকালে নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছবি তুলতে তিনি অভিরুচি স্টুডিওতে যায়। এ সময় স্টুডিও মালিক ইমরান তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি প্রস্তাবে রাজি না হলে, ছবি তোলার রুমে জোরপূর্বক ইমরান তাকে স্পর্শ করে এবং একপর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
পরে শিক্ষার্থী ডাকচিৎকার দিয়ে দৌড়ে বিদ্যালয়ে যায় এবং সহপাঠীদের বিষয়টি জানায়। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পরলে সকলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং মুহূর্তেই এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাতক্ষণিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং অভিরুচি নামের ওই স্টুডিও বন্ধ করে দেয়। দিনভর আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ও জামায়াতের কর্মী ইমরানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত স্টুডিও ব্যবসায়ী মো. ইমরান এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে কুপ্রস্তাব দেইনি। সকালে কয়েকজন ছবি তুলতে এসেছিল, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, "খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে, বিকেলে যৌন নিপিড়ন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তির একটি মামলা এফআইআর করা হয়েছে। দ্রুতই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে পুলিশ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:








