টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সদরে রাতের বেলাতেও অন্তত দুইটি ফার্মেসি খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে পৌরসভা প্রশাসন। জনস্বার্থে এবং রোগীদের জরুরি ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে বাংলা এডিশন- এর ডিজিটাল সংস্করণে “ভূঞাপুর হাসপাতালে মিলছে না প্রয়োজনীয় ওষুধ, বাহিরের ফার্মেসি রাতে বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে লাখো মানুষ”শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি পৌর প্রশাসনের নজরে আসার পর এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়।
রবিবার ভূঞাপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. রাজিব হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত অন্তত দুইটি ফার্মেসি প্রতিদিন রাত আটটা থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে।
আদেশে বলা হয়েছে, ফার্মেসি মালিকরা মাসিক ভিত্তিতে রাত্রীকালীন ডিউটির রোস্টার তৈরি করে পৌরসভায় জমা দেবেন। পাশাপাশি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ প্রশাসনের (DGDA) অনুমোদিত লাইসেন্স, এবং নিবন্ধিত ফার্মাসিস্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। পৌরসভার জনস্বাস্থ্য শাখা নিয়মিত তদারকি করবে এবং প্রতিবেদন আকারে প্রশাসকের কাছে জমা দেবে।
চিঠিতে আরও সতর্ক করা হয়েছে, কোনো ফার্মেসি এই আদেশ অমান্য করলে প্রথমবার লিখিত সতর্কবার্তা ও সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। পুনরায় লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করা হতে পারে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া নির্ধারিত রাত্রীকালীন ফার্মেসির তালিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌরসভা কার্যালয় এবং জনসমাগমস্থলে প্রদর্শন করা হবে। নাগরিকরা রাতের বেলায় ফার্মেসি বন্ধ বা অনিয়ম লক্ষ্য করলে সরাসরি পৌরসভায় অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আদেশে জানানো হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে রাতের বেলায় ওষুধ সংকটে পড়া রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে।
আরও পড়ুন:








