সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বেফাঁস কথা বলে বিএনপি নেতা সান্টু আবারও আলোচনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:০৯

শেয়ার

বেফাঁস কথা বলে বিএনপি নেতা সান্টু আবারও আলোচনায়
সরদার সরফুদ্দিন সান্টু

বেফাঁস মন্তব্য করে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বরিশাল–২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও উজিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার সরফুদ্দিন সান্টু। দলের কেন্দ্রীয় সদস্য এই নেতা সম্প্রতি এক সভায় বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজিতে উৎসাহিত করার মতো বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর সেই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থাকার পর সান্টু গত বছর ৫ আগস্ট দেশে ফেরেন। এরপর থেকেই তিনি এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন। তবে তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের একাংশের সঙ্গে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বেও জড়ান তিনি।

সম্প্রতি বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের পর নবগঠিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সান্টু বলেন, গত এক বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা যে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা আমি তাদের করতে দিছি। কারণ গত ১৭ বছর তারা কিছু খায় নাই। দল যদি ক্ষমতায় না আসে, তাহলে কিন্তু কিছু পাবেন না।

ওই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল উজিরপুরের গুঠিয়ায় সান্টুর নিজস্ব ‘বাইতুল ভিউ কনভেনশন হলে’। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মাহমুদ মাহবুব মাস্টারসহ স্থানীয় নেতারা। মাহবুব মাস্টার বলেন, হ্যাঁ, সান্টু ভাই এমন কথাই বলেছিলেন। তবে সম্ভবত মুখ ফসকে বলেছেন, ইচ্ছে করে নয়।

অন্যদিকে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মৃধা ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি, তবে সেটি কোন সভার তা বুঝতে পারিনি। আমার ধারণা, এটি কাটপিস করে বানানো। মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য কেউ হয়তো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি ছড়িয়েছে।

তবে বরিশাল–২ আসনের অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সহসম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ভিডিওটি কোনোভাবেই কাটপিস নয়। সরদার সান্টু বারবার বেফাঁস মন্তব্য করে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে সরদার সরফুদ্দিন সান্টুর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এর আগে গত জুলাই মাসে উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে খালেদা জিয়া এবং দলের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সান্টু। তখন তিনি দাবি করেছিলেন, খালেদা জিয়ার হাতে দল চালাতে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। ম্যাডাম কথা রেখেছেন। আলালকে নমিনেশন এনে দিতে ছয় লাখ টাকা দিয়েছি, এখন উল্টো মামলায় জড়াচ্ছেন। সরোয়ারকেও বলি, ভুলে যাবেন না আমি একবার ভোট করেছি, আবারও করে দেখাব।

দফায় দফায় বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে দলীয় মহলে সরদার সরফুদ্দিন সান্টু এখন নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে।



banner close
banner close