মানিকগঞ্জের সিংগাইরে তালেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মীর রবিউলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত শুক্রবার সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মীর রবিউল (৫০) উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইসলাম নগর গ্রামের মৃত মীর আরশাদের ছেলে। তিনি তালেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর পূর্বে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মারা যান। এরপর প্রায় চার বছর ধরে ওই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন মীর রবিউল। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাসে এক বছর আগে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মীর রবিউল। এবপর বিয়ের কথা বলে তার সাথে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক করে মীর রবিউল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ অক্টোবর রাত দশটার দিকে ওই নারী ও মীর রবিউলকে অন্তঃরঙ্গ অবস্থায় হাতে নাতে আটক করে এলাকাবাসী। তখন মীর রবিউলের ছেলে শামীম ও রফিকসহ অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জন পরদিন তাদের বিয়ে দেয়ার আশ্বাসে মীর রবিউলকে ছাড়িয়ে নেন। কিন্ত পরদিন বিয়ে না করে বাড়ী থেকে পালিয়ে যান মীর রবিউল।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, মীর রবিউল মেম্বার আমাকে বিয়ের কথা বলে শারিরীক সম্পর্ক করে এবং অর্থ হাতিয়ে নেয়। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সহায়তায় ৭ অক্টোবর বিচারের কথা থাকলেও তারা সালিশে উপস্থিত হয়নি। তারা যেকোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে মীর রবিউল বলেন, বিষয়টি সঠিক নয়। আমি গাড়িতে আছি, পরে কথা বলবো। পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে তালেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. সাদিয়া রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে থানায় অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগীরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:








