রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বগুড়ায় ঘুষের টাকা ফেরত: আসামী ছাড়ানোর নামে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:২৩

শেয়ার

বগুড়ায় ঘুষের টাকা ফেরত: আসামী ছাড়ানোর নামে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
ফাইল ছবি

বগুড়ায় এক আসামীকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ঘুষ নেয়ার পর আবার সেই টাকা ফেরত দেয়ার এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে উপশহর ফাঁড়িতে। ঘটনায় অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সোহাগ ফকিরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে এখন বিষয়টি আলোচনায়।

১০ অক্টোবর (শুক্রবার) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বগুড়া সদর থানার উপশহর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে এক মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় গাবতলী উপজেলার হোসেনপুর এলাকার ফিরোজ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২২) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

পরদিন ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ সময় থানার ভেতরে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের পরিবার দাবি করেছে, উপশহর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ( এসআই) সোহাগ ফকির মেহেদীকে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে ঘুষ নেন।

গ্রেপ্তারকৃত মেহেদীর পিতা ফিরোজ হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে ধরেছে পুলিশ। পরে সাব-ইন্সপেক্টর সোহাগ ফকির বলেন, ৫০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেবো। অনেক অনুরোধের পর তিনি ৩০ হাজারে রাজি হন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে থানার ভেতরে মোটরসাইকেল রাখার গ্যারেজে আমি তাকে ১৫ হাজার টাকা দিই। তিনি আরও বলেন, ১৫১ ধারায় তাকে আদালতে পাঠানো হবে, আজই আদালত থেকে জামিন নিয়ে নেন। কিন্তু দুপুরে তিনি সেই টাকা আবার ফেরত দেন এবং আমার ছেলেকে ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চালান দেন।

আসামী মেহেদী হাসান বলেন, আমি মারামারিতে অংশ নিইনি। বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। স্থানীয়রা ভুল বুঝে আমাকে আটকায়। পরে পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাকে মামলায় জড়ায়।

অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ ফকির ঘুষ নেয়া এবং ফেরতের বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করননি। তবে তিনি বলেন, মামলা হয়েছে এটাই ব্যাপার। আসামি এখন কারাগারে।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাশির বলেন, ঘুষ নেয়া একটি গুরুতর অপরাধ। ঘুষ নেয়া বা ফেরত দেয়ার কোনো তথ্য আমার জানা নেই। বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে, সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



banner close
banner close