ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের সামনের সড়কে এম্বুলেন্স দাঁড়ানোর জন্য ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়৷ এই অতিরিক্ত টাকা শেষে বহন করতে হয় রোগী ও তাদের পরিবারেরকে। ২০২৪ এর পাঁচ আগস্টের পর এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের মাথা পরিবর্তন হলেও চাঁদাবাজি রয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালের মেইন গেটের সামনে অপেক্ষমাণ থাকা এম্বুলেন্সের জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়। সিরিয়ালের বাইরে থাকা এম্বুলেন্সকে রোগী বহন করতে দেয়া হয় না।
এতে করে টাকা দিয়ে সিরিয়াল নেয়া চালকরাও বেপরোয়া হয়ে উঠেন৷ ঢাকা বা জেলার বাইরে ভিন্ন হাসপাতালে রোগী নেবার সময় অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া হয়। যারা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকার করেন, তাদের সঙ্গে এম্বুলেন্স চালকরা দুর্ব্যবহার করেন।
জেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সমীর চক্রবর্তী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, এই সিন্ডিকেটে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা যুক্ত। এতে অসহায় রোগী ও তাদের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অসহায়দের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সদর হাসপাতালের বাইরে ও ভিতরে এম্বুলেন্স এর পার্কিং বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি এম্বুলেন্সের মালিক ও চালকের ফোন নাম্বার হাসপাতালের তেতরে বিলবোর্ডে প্রদর্শন করা হোক, যাতে রোগীদের পরিবার ইচ্ছেমতো এম্বুলেন্স বেছে নিতে পারেন।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা আরও ক্ষুণ্ণ হবে।
আরও পড়ুন:








