চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট (কয়লাবিদ্যুৎ) প্রকল্প ঘিরে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী ও কন্ট্রাক্টরদের অভিযোগ, ২০১২ সাল থেকে জমি ক্রয় ও উন্নয়ন কাজে যুক্ত বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের শত শত কোটি টাকা এখনো পরিশোধ করেনি এনএসএন কনসোর্টিয়াম লিমিটেড ও এস আলম গ্রুপ।
স্থানীয়দের দাবি, এস আলম গ্রুপ ও পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ পুরনো কন্ট্রাক্টরদের পাওনা পরিশোধ না করে তাদের বাদ দিয়ে নতুন কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করাতে চাইছে। এতে পাওনাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক সভায় শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা তিন দফা দাবি জানান, গরিব ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং সকল পুরনো কন্ট্রাক্টরের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি ও লবণচাষিদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। ড্রেজিং ও কয়লা আনলোডিংসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজ স্থানীয়দের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় দ্রুত সব পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
এনএসএন কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে এলাকাবাসীকে নিয়ে জমি ক্রয়, বন্দোবস্ত, বালু ভরাটসহ প্রজেক্টের প্রায় সব কাজ আমরা করেছি। কিন্তু দেশের নানা সংকটের কারণে এস আলম গ্রুপ থেকে শত শত কোটি টাকা এখনো পাওনা। ফলে ব্যাংক, কন্ট্রাক্টর ও স্থানীয় অনেকের পাওনা মেটাতে পারিনি। আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত সমাধান হবে।’
তিনি আরও জানান, পাওনা টাকার কারণে বিভিন্ন কন্ট্রাক্টর, ব্যাংক ও ব্যক্তি তার কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে নামবেন। তবে এস আলম গ্রুপ ও এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের মতে, প্রকল্পে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে বকেয়া পরিশোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা সমাধানই একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন:








