গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের রক্তকে অবমাননা করে জেলা যুব সংগঠন ‘যুবশক্তি’-তে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ও টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আখড়া বাজারের নজরুল চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষ হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব এবং বর্তমান জাতীয় যুব শক্তি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াজ ইবনে জসিম বলেন, আজ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, ব্যথিত, হতাশ হয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। রক্ত দিয়ে যে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি টাকা দিয়ে তাদের দোসরদের আজ আমাদের যুবশক্তিতে পূণর্বাসন করার মতো ঘৃন্য কাজ হতে দেখেছি। আমরা যারা আন্দোলন সংগ্রাম করে, আহত হয়ে, জীবন বাজি রেখে স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পতন ঘটিয়ে দেশের জন্য এখনো কাজ করে যাচ্ছি তাদের কে এখন ঐ খুনি দোসরদের নেতৃত্ব কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমাদের জীবন থাকতে, শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদের দোসরদের পূণর্বাসনের সুযোগ দিবো না।
এ সময় তিনি আরো বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা যুব শক্তির একটি আওয়ামী কমিটি ঘোষণা হয়েছে যা আমাদের রক্তের সাথে বেইমানি। শহীদদের প্রতি উপহাস। আর এই উপহাস করেছেন কেন্দ্রীয় যুব শক্তির দূর্নীতিবাজ, টাকার বিনিময়ে কমিটি প্রদান কারী আব্দুর রব। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে আপনাদের হাতে পৌঁছে গেছে। তাছাড়াও আওয়ামী দোসর আলিমুল হক এর সকল প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও উনাকে মূখ্য সংগঠক দেওয়া হয়। যা আহত ও শহীদের রক্তের সাথে অন্যায়ের স্বামীল।
সমাবেশে তিনি কেন্দ্রকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিশোরগঞ্জ আওয়ামী-যুবলীগের যুবশক্তি কমিটি স্থগিত না করলে কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুর রবকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
তিনি জাতীয় যুবশক্তির বিপ্লবী আহ্বায়ক জনাব তরিকুল ইসলামকে জোরালো আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে আব্দুর রবকে বহিষ্কার করে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী-যুবলীগের যুবশক্তি কমিটি স্থগিত করা হোক।
আরও পড়ুন:








