সিরাজগঞ্জ জেলায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে ও ভোরে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন, যাদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু ভাই-বোন। একটি দুর্ঘটনা ঘটে তাড়াশ পৌর এলাকায়, আরেকটি ঘটে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কাসেম মোড়ে। আজ সকাল ৮টার দিকে তাড়াশ পৌরসভার উলিপুর ব্রিজের পূর্বপাশে গরুবোঝাই একটি শ্যলোইঞ্জিনচালিত ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে জোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার তীব্রতায় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং এর ভেতরে থাকা যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা ও পুলিশ দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠায়। পথেই মারা যান দুইজন — তাড়াশ পৌর দক্ষিণপাড়া মহল্লার শিশু জনি (৭) এবং অটোরিকশাচালক হাইফোত হোসেন (৩৫)। পরে দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি তুবা (৫), জনির ছোট বোন। নিহত জনি ও তুবা তাড়াশ পৌর দক্ষিণপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, “আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত আছে।”
এর আগে ভোরে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কাসেম মোড় এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী একটি পণ্যবাহী ট্রাক বিকল হয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগতির আরেকটি ট্রাক এসে সেটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় সামনের ট্রাকের চালক গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং দুটি ট্রাক জব্দ করে। পুলিশ জানায়, দুটি দুর্ঘটনার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ভটভটি ও দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকগুলো আটক করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন— জনি (৭), তুবা (৫), হাইফোত হোসেন (৩৫) এবং এক অজ্ঞাত (৪০) ট্রাকচালক। ভাই-বোনের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। স্থানীয়দের অভিযোগ, উলিপুর ব্রিজ এলাকায় ভারী যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা দ্রুত ওই এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গতিসীমা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








