যশোর উপশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাশিদা বেগমের অপসারণের দাবিতে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এ পরিস্থিতি চলতে থাকে। পরে পুলিশ ও শিক্ষা অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অবরুদ্ধকারীরা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালনের সময় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। সহকর্মী, অভিভাবক এমনকি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও তার বিরূপ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোছা. রাশিদা বেগম বলেন, ‘আমি দায়িত্বশীলভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কিছু শিক্ষক স্থানীয় হওয়ায় ব্যক্তিগত কারণে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে তদন্তে যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:








