যোগাযোগ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এই পথ দিয়ে যাবেন, তাই সড়কের পাশে ভৈরব পৌরসভার আবর্জনার স্তূপ পর্দা দিয়ে ঢেকে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনে যোগে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নামেন এই উপদেষ্টা। পরে রেলওয়ে স্টেশন থেকে, ভৈরব রেল স্টেশনের সড়ক দিয়ে তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলে উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
ভৈরব রেল স্টেশনের সড়কের পাশে রেলওয়ে জায়গাতে ভৈরব পৌরসভা দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার সকল আবর্জনা এই জায়গায় ফেলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই পথে আসা যাওয়া যাত্রীরা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ পোয়াতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর এই পথটি হল ভৈরব রেলস্টেশনে আসা যাওয়ার একমাত্র পথ, এই পথ দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রেন যাত্রীরা আসা যাওয়া করে থাকে।
এলাকাবাসী জানায়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের পাশে ময়লার স্তূপের কারণে পথচারীরা নাক চেপে চলাচল করতে হয়েছে। কিন্তু আজকে সরকারের একজন উপদেষ্টা আসবেন বলে কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তাছাড়া ময়লার স্তূপ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায়।
পৌর শহরের পঞ্চবটি গ্রামের ব্যবসায়ী সাদ্দাম মিয়া বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। সড়কটির পাশে রেলের পুকুরে অবাধে ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করছে। এতে ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে জনমনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি সুমন মিয়া জানান, মার্কেটে কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন এই পথ দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়, নাক চেপেও দুর্গন্ধ ধরে রাখা যায় না।
জানা যায়, বন্দরনগর ভৈরব একটি বাণিজ্য এলাকা হওয়ায় আশেপাশের কয়েক জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে চড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ রেলওয়ে স্টেশন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া শহরের ঘোড়াকান্দা পলাশের মোড় এলাকায় অবস্থিত ৩টি স্কুলের প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। শহরের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনে যাওয়ার সড়কটির পাশে ঘোড়াকান্দা পলাশ মোড়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ টন ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়ক দিয়েই চলাচল করা ট্রেনের যাত্রী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। পৌর শহরের ১২টি ওয়ার্ডে ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে অবস্থিত রেলওয়ের একটি বড় পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে পুকুরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভরাট হয়ে গেছে আবর্জনায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ভৈরব পৌরসভা প্রতিবছর শত শত কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা দেয় আমরা পত্রপত্রিকাতে দেখি, অথচ এখনো পর্যন্ত, ময়লা আবর্জনা স্তুপ ফালানোর জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করতে পারল না।
উল্লেখ্য ভৈরব পৌরসভাটি সারা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার মধ্যে A ক্যাটাগরির ২০ টি পৌরসভার মধ্যে ১টি, প্রতি বছর পৌরসভা শত কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে ভৈরব পৌরসভা, সেই তুলনায় নাগরিক সুবিধা অনেক কম, যখন যে সরকার আসছে মেয়র ও কাউন্সিলররা মিলে পৌরসভাটিকে লুটেপুটে খাচ্ছে,
A ক্যাটাগরির পৌরসভা হিসেবে প্রতিবছর বিদেশি বিভিন্ন প্রকল্পের অনুদানও দেওয়া হয় এই পৌরসভায়, অথচ সেই তুলনায় পৌরসভার নাগরিকরা পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভৈরব পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম রোকন জানান, পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় শহরের ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে রেলের জায়গায় ফেলতে হয়। আমরা প্রতিদিনই ময়লা আবর্জনা স্তূপে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি। আজকে সরকারের রেলপথ উপদেষ্টা আসবেন বলে কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। যাতে ভৈরবে আগত অতিথিদের চোখে না পড়ে।।
আরও পড়ুন:








