সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুফলভোগীদের লিজকৃত পুকুর দখল ও জোরপূর্বক মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় সুফলভোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অভিযুক্তরা হলেন তাড়াশ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ মাসুম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক শুকুর মির্জা।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুফলভোগীরা পুকুর লিজের জন্য আবেদন করেন। পরে কর্মকর্তার পরামর্শে প্রায় ৮০টি পরিবার যৌথভাবে মাছ চাষ শুরু করে।
কিন্তু কিছুদিন পর অভিযুক্ত দুই যুবদল নেতা দলবল নিয়ে পুকুরে পোনা মাছ ছাড়েন এবং দাবি করেন, পুকুরটি তাদের দখলে। তারা সুফলভোগীদের হুমকি দিয়ে বলেন, পুকুরে মাছ চাষ করতে হলে প্রতি পক্ষকে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
এ ঘটনায় সুফলভোগীরা উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না পাওয়ায় তারা মানববন্ধন ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত রাজীব আহমেদ মাসুম বলেন, “সুফলভোগীদের জানিয়ে আমরা চার লাখ টাকা দিয়েছি এবং প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাষাবাদ করছি।”
অন্যদিকে শুকুর মির্জা বলেন, “৮০ জন সুফলভোগীর মধ্যে প্রকৃত ৩০ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমরা চাষ করছি।”
তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোকাররম হোসেন বলেন, “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মৎস্য চাষ প্রকল্প সমিতিভিত্তিক। এখানে সাবলিজ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চলছে, সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন:








