ফেনীর সোনাগাজীতে গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন থানা পুলিশের দুই সদস্য। এসময় হামলাকারীরা পুলিশের একটি শটগান ও একটি ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা জাহেদুল ইসলাম রিপনকে আটকসহ লুন্ঠিত অস্ত্র ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহাম্মদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সোনাগাজী মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, জিআর ৮৫/২৫ মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি জাহেদুল ইসলাম রিপন ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম আরিফকে আটক করতে মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তাদের বাড়িতে অভিযান চালান সোনাগাজী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান ও এএসআই মোফাজ্জল হোসেনসহ পুলিশের একটি দল। পুলিশ সদস্যরা বসতঘরে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে গেলে আবুল হাশেমের দুই ছেলে রিপন ও আরিফসহ তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা বিছানার নিচে লুকিয়ে রাখা দা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশ সদস্যরা আহত হন এবং কর্তব্যকাজে বাধা পেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। এই সুযোগে অপরাধীরা পুলিশের কাছে থাকা একটি শটগান ও একটি ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই আহত পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) এবং সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার-ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং ব্যাপক অভিযান শুরু করে। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অভিযানের পর সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে মূল অভিযুক্ত জাহেদুল ইসলাম রিপনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় তার হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া শটগান ও ওয়াকিটকিটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক আসামি জাহেদুল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলাসহ মোট নয়টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা এবং অস্ত্র লুটের ঘটনায় নতুন করে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন:








