টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজির অভিযোগসহ নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়ে ওঠা নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অবশেষে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলা এডিশনের অনলাইনে "ভূঞাপুরে নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ" শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারপর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় নৌ পুলিশ, শুরু করেন প্রাথমিক তদন্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল নৌ পুলিশ সুপার সোহেল রানা।
জানা যায়, ফজলুল হক দীর্ঘদিন ধরে নদীপথে চলাচলকারী মাঝি, জেলে ও বালুবাহী নৌকা মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছেন। বালুবাহী নৌকা ও বাল্কহেডের আকারভেদে মাসিক ১ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়, এমনকি জেলেদেরও মাসে ১ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযান চালিয়ে তাদের নৌকা, জাল ও বাল্কহেড আটক করা হয়। টাকা দিলে সেগুলো ফেরত দেওয়া হলেও, না দিলে জাল ও নৌকা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফজলুল হককে ঘিরে ছাগল কাণ্ড, অর্থ লেনদেন ও বালুবাহী নৌকা অভিযানের নাটকীয় দৃশ্য নিয়ে কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এসব ভিডিও ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক।
স্থানীয় নদীপারের মানুষ তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। টাঙ্গাইল নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার মো. সোহেল রানা বলেন, তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌ পুলিশ বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করছে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির আকন্দ বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বাকিটা জানা যাবে। তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:








