গণ-অভ্যুত্থানের ১৪ মাস পার হলেও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) আয়োজিত বিশ্ব বসতি দিবসের অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষের লোগো সংবলিত লিফলেট বিতরণের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় খুলনা শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও আমন্ত্রিতদের হাতে কেডিএ’র পক্ষ থেকে লিফলেট তুলে দেওয়া হয়। পরে লক্ষ্য করা যায়, এসব লিফলেটে মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই উপস্থিত অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সভাস্থলেই প্রতিবাদ জানান। তাদের অভিযোগ, গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে অসম্মান করা হয়েছে এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের ১৪ মাস পরেও এমন লোগো ব্যবহার অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। আমি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছি। কেডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন এটি ভুলবশত ঘটেছে। তবে প্রশ্ন হলো, এমন ভুল কীভাবে হতে পারে? আমরা মনে করছি এটি পরিকল্পিত ঘটনা হতে পারে, তাই এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।”
এ বিষয়ে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে এবং অনুষ্ঠানস্থলে লিফলেট বিতরণ করেছি। অনেক পুরোনো লিফলেট একত্রে থাকায় ভুলবশত মুজিববর্ষের লোগো সংবলিত কিছু লিফলেট বিতরণ হয়ে গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে লিফলেটগুলো সংগ্রহ করে ধ্বংস করেছি। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল, যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। একেবারে অনিচ্ছাকৃতভাবে পুরোনো লিফলেট বিতরণ হয়েছে। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতে এমন ভুল যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকব।”
এদিকে কেডিএ’র এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন গণ-অভ্যুত্থানের ১৪ মাস পরও কেন এখনো এমন লোগো সংবলিত সরকারি প্রচারসামগ্রী সংরক্ষিত আছে?
আরও পড়ুন:








