শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, পাবলিক-প্রাইভেট শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণসহ দাবি কয়েকটি দাবি জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
রবিবার ইউটিএলের প্রচার টিম ও কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সদস্য ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামানের পাঠানো এক বার্তদয় ওই দাবি জানানো হয়। এছাড়া ওই বার্তায় শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও পেশাগত স্বাতন্ত্র নিশ্চিত, শিক্ষাক্ষেত্রে টেকসই বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে ঘিরে ইউটিএলের পাঠানো ওই বার্তা বিশ্বের সকল শিক্ষককে শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস কেবল একটি আনুষ্ঠানিক দিবস নয়; বরং এটি শিক্ষকতার পেশাগত গুরুত্ব, শিক্ষকদের অধিকার এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে তাদের অনন্য অবদানকে গভীরভাবে স্মরণ ও মূল্যায়নের দিন।’
শিক্ষকদের বর্তমান অবস্থানর চিত্র তুলে ধরে এতে বলা হয়, ‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা পর্যাপ্ত গবেষণা সুবিধার অভাব, আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অনিশ্চয়তা এবং সামাজিক মূল্যায়নের ঘাটতির মতো নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। এই বাস্তবতায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসের বার্তায় ইউটিএল স্পষ্টভাবে বলতে চায়, শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও পেশাগত স্বাতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে; শিক্ষাক্ষেত্রে টেকসই বিনিয়োগ বাড়াতে হবে; শিক্ষকদের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধাসহ স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন করতে হবে; পাবলিক ও প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যত বেশি একজন শিক্ষককে সম্মান, স্বাধীনতা ও সহযোগিতা প্রদান করা হবে; তত বেশি তিনি নিষ্ঠা, সৃজনশীলতা ও মমত্ববোধ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াবেন এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখবেন। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষাবান্ধব নীতি গ্রহণ, শিক্ষা বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা এবং আধুনিক গবেষণা সুবিধা প্রদান করা।’
এতে, শিক্ষকদের প্রতি সর্বস্তরে সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, ‘শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা করা মানেই জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা, আর জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাই একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়।’
শেষাংশে বলা হয়, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ জ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও অগ্রসর জাতি গঠনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।’
আরও পড়ুন:








