ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক এমপি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা। ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে মূল মদদদাতা আখ্যা দিয়ে এ দাবি জানানো হয়।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাউতুলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, আলেম-ওলামাদের শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০২১ সালের আন্দোলনে মোকতাদির চৌধুরীর প্রত্যক্ষ মদদে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর গুলি চালানো হয়, যাতে ১৬ জন প্রাণ হারান। এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি – ফাঁসি দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে হেফাজতের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এখন সরকারের দায়িত্ব হলো শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেমদের ওপর নির্যাতনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
তারা দাবি জানান, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে হাজির করে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
সমাবেশে জেলা হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি মুফতি আলী আজম কাসেমী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি বুরহান উদ্দিন কাসেমী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ ভুইয়া, যুব সম্পাদক মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, প্রচার সম্পাদক মুফতি উবায়দুল্লাহ মাদানী, দপ্তর সম্পাদক
বেল্লাল হোসেন ও জেলা এনসিপির যুগ্ম-সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল জিহান মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। ওই সময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ রেলস্টেশন, থানা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৬ জন নিহত হন এবং শতাধিক আহত হন।
আরও পড়ুন:








