সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট অফিসের তিনজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি নিলামের মালামাল লুটপাট ও জেলা প্রশাসনের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নলকা-সিরাজগঞ্জ-সয়দাবাদ আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণকৃত স্থাপনাগুলো কালেক্টরেট তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির নামে নিলামে বিক্রি করা হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মো. তৌফিকুর রহমান ও মো. নাফিউর রহমান যথাক্রমে লট নং ১৯ ও ২০-এর ক্রেতা হন।
অভিযোগকারীদের দাবি, কালেক্টরেটের কর্মচারী আব্দুল মোমিন (অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক), আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী (সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, তথ্য ও অভিযোগ শাখা) ও নুরুল আমীন (সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ভিপি সেল শাখা) প্রভাব খাটিয়ে ওই নিলামকৃত স্থাপনাগুলো দখল করেন। পরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, একই কর্মচারীরা পরবর্তীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আরেকটি নিলামে প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার স্থাপনা মাত্র ৪০ হাজার টাকার জামানত জমা দিয়ে নিজেদের নামে বরাদ্দ নেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধ না করে জামানতের টাকা উত্তোলন করেন। পরে উক্ত জায়গায় নতুন করে ১২টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা আয় করেন।
এ ছাড়া একই রেজিস্ট্রেশন নম্বর (নং-৩৬১) ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন নামে একাধিক সমিতি পরিচালনার অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহা. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের জায়গায় মার্কেট নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। তবে সমিতির নামে মার্কেট নির্মাণ করে কাউকে বাণিজ্যিকভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:








