ভোলায় অভিনব প্রতারণা করেই চলছে মাংসের দোকান। পুরনো হিমায়িত মাংসে তাজা রক্ত সাদৃশ মিশিয়ে ক্রেতার সাথে প্রতাণা এক অপ্রতিরোধ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হরদমই চলছে রোগাক্রান্ত গরু ছাগল সহ গবাদিপশুর জবাই ও মাংস বিক্রি। আর এসব গবাদিপশু কসাইরা দিনে নয় রাতেই জবাই করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
ব্যাংকের হাট বাজার, ঘুইংগার হাট,বাংলা বাজার, পরানগঞ্জ বাজার,বেলুমিয়া বাজার, জংশন বাজার ঘুরে দেখা যায় প্নতিটি মাংসের দোকান আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে। সড়কের ধুলোবালির স্তরে আচ্ছাদিত এসব দোকানে সাঁটানো রয়েছে থরে থরে গরু কিংবা খাশির মাংস।
ক্রেতাদের অভিযোগ দিনের পরিবর্তে রাতে জবাই করা বকরি ও হয়ে যায় খাশি। আবার রোগাক্রান্ত গরুও বনে যাচ্ছে সবল সুস্থ
যথেষ্ট তদারকির অভাবে রোগাক্রান্ত পশু বা চোরাই পশুর মাংসসহ পুর্বে সংরক্ষন করা হিমায়িত মাংস বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।
আজ উপজেলার পরানগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখাযায় মিলন কসাইর দোকানে পুরানো ম্ংস সাঁটিয়ে তাতে নতুন রক্ত সাদৃশ্য একটি তরল পদার্থের প্রলেপ দেয়া হচ্ছে।
পাশেই রয়েছে একটি কালো গরুর চামড়া বালতিতে রাখা হয়েছে গরুর গোবর। এসবই ত্রেতাকে ধোকা দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে বলে স্বিকার করেন মিলন কসাইয়ের দোকানের স্টাফ সুমন। সুমন বলেন মালিকের আদেশ মানতে হবে তাই পুরনো মাংসে রক্ত মাখাইছি।
তবে ক্রেতার সাথে প্রতারণা করার দ্বায় স্বীকার করে পালিয়ে যায় তিনিও। একই কৌশলে মাংস বিক্রি করেন পরানগঞ্জ বাজারের অন্যান্য দোকানিরাও।
সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকানে মাংস সাঁটানো রেখেই পালিয়ে যায় বেশ কটি দোকানিরা।
কসাইদের এমন প্রতারণায় দেখভাল করার যেন কেউ নেই। নেই কোন তদারকি বা কসাই দের স্বেচ্ছাচারিতা।
সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের উদাসীনতা কেই দায়ী করে একজন ক্রেতা বলেন এদের সাথে প্রসাসনের গোপন আঁতাত রয়েছে না হলে এভাবে চলতে পারেনা।
এই ক্রেতা আরো বলেন আমরা জানিনা না কিশের মাংস খাচ্ছি, অপর দিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার শংকা সহ দামেও রয়েছে বেশ তারতম্য।
মিলন কসাইকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আজ আমার দোকানে গরু জবাই হয়নি, আগের কিছু মাংস ছিলো তা বিক্রি করছেন আমার স্টাফ সুমন।
পুরনো মাংসে তাজা রক্ত আসলেন কোথা থেকে? এমন প্রশ্নে মিলন বলেন মাংসে রক্ত না দেখলে ক্রেতা নিতে চান না, তাই রক্ত লাগিয়ে বিক্রি করেন, এটা ঠিক হয়নি বলে আর এমন প্রতারণা করবেন না বলে জানান মিলন।
মিৱন কসাইর দোকানের পাসের মুদি দোকানি জানান আপনাদের দেখে ওরা পালিয়ে গেছে তাই বুঝলাম ওরা প্রতারক।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তদারকি করার দাবি জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন বিষয়টি মনিটরিং করে এসকল অসাধু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:








