টানা পাঁচ দিনের লম্বা ছুটিতে পর্যটক সমাগম বেড়েছে বান্দরবানে। সম্প্রতি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় অনেকেই ছুটে এসেছেন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং দেখার জন্য।
বান্দরবান জেলার কাছের পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল, নীলগিরি, মেঘলা, শৈলপ্রপাত এখন পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত। এ ছাড়া সকাল থেকেই জেলার চাঁদের গাড়ি কাউন্টারে ছিলো আগত পর্যটকদের লম্বা লাইন। রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার পর্যটন স্পট দেবতাখুম, ডিম পাহাড়, কেওক্রাডং, বগালেক, তিন্দু, বড় পাথর পর্যটন স্পটগুলোতে পরিবার-পরিজন আর বন্ধুরা মিলে যেতে হলে প্রয়োজন এই চাঁদের গাড়ির।
এদিকে সরকারি ছুটিতে জেলার আবাসিক, হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোর অধিকাংশ রুম আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হোটেল বুকিং না করে আসা পর্যটকরা।
হোটেল গার্ডেন সিটির স্বত্বাধিকারী জাফর বলেন, টানা সরকারি ছুটির কারণে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এসেছে। আবাসিক রুমগুলো আগে থেকেই অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। টানা চারপাঁচ দিন এমনটা থাকবে। জেলার সব পর্যটন স্পটে ঘোরার সুযোগ থাকায় পর্যটকের সমাগম আরও বাড়বে।
বান্দরবান আবাসিক হোটেল রিসোর্ট অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, পর্যটন ব্যবসায় কিছুটা চাঙ্গা ভাব ফিরতে শুরু করেছে। সরকারি ছুটিগুলোতে স্বাভাবিক ভাবেই পর্যটকের আনাগোনা বেশি থাকে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে মন্দা ভাব কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, বান্দরবানে সারাবছরই পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পোশাকেও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন:








