গাজীপুরের শিমুলতলী এলাকায় অনুমতিহীনভাবে আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চলন্ত নাগরদোলা হেলে পড়ায় অন্তত পাঁচজন আহত হন। বিএমটিএফ লিমিটেড আর্মি ফার্মা ফ্যাক্টরির নির্ধারিত স্থানে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। শুরু থেকেই মেলায় থাকা নাগরদোলা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চালানো হচ্ছিলো। দুর্ঘটনার সময় নাগরদোলায় চড়েছিলেন প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন দর্শনার্থী। হঠাৎ করেই সেটি হেলে পড়লে চিৎকার চেঁচামেচিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
অভিযোগ রয়েছে, দুর্ঘটনার পর আহতদের কড়া নিরাপত্তায় দ্রুত অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয় মেলা কর্তৃপক্ষ। এ সময় সাংবাদিক ও সাধারণ দর্শনার্থীরা ছবি তুলতে চাইলে তাদের বাধা দেয়া হয়। এতে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, নিচে বালু থাকায় তা ডেবে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাধারণত এতো বড় নাগরদোলা বালুর ওপর বসানো যায় না। এটি সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুর হাসান বলেন, মেলার অনুমতির জন্য আমাদের কাছে কোনো আবেদন করা হয়নি। তাই আমরা কোনো অনুমতিও দিইনি। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তাদের কাছেও অনুমতির জন্য কোনো আবেদন করা হয়নি।
তবে মেলা আয়োজকদের পক্ষ থেকে ভিন্ন দাবি করা হয়। আয়োজক মাহমুদ বলেন মেলার অনুমতি দিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী অফিসার আবুজর গিফারী স্পষ্ট করে জানান, ‘আমাদের শুধু জানানো হয়েছিলো। তবে আমরা কোনো অনুমতি দিইনি।’
একই ঘটনায় পুলিশের অনুমতি নেই, জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেই, এমনকি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডও অনুমতির কথা অস্বীকার করেছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে, এত বড় মেলা আয়োজনের অনুমতি তাহলে কে দিলো? প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনুমতিহীনভাবে আয়োজিত এই মেলায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। নিরাপত্তাহীনভাবে এমন ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদন ব্যবস্থা চালু থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন:








