রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সৈয়দপুরে দলীয় ব্যানার টাঙিয়ে চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২০

শেয়ার

সৈয়দপুরে দলীয় ব্যানার টাঙিয়ে চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
ছবি: বাংলা এডিশন

সৈয়দপুরের বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল খান (রেজা) কর্তৃক দোকান ও জায়গা দখল, চাঁদা দাবি, ভাংচুর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এলাকায় অবস্থিত আমিনুল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মঙ্গলবার দুপুরে বিসিক এলাকায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার সকালে রেজাউল খান রেজা তার লোকজন নিয়ে এসে সারের সাব-গোডাউনের দেয়াল ভেঙে দোকান দখল করে এবং পেছনের জায়গা টিন দিয়ে ঘিরে নেয়।

খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে দখলকারীরা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে লাঠি নিয়ে হামলার চেষ্টা করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও দখলকারীরা খারাপ ব্যবহার করে এবং কথা শোনেনি। রাতে পুলিশ নির্মাণকাজে নিয়োজিত দুইজনকে আটক করলেও অল্প সময়ের মধ্যে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়।

এরপর রেজা খান মার্কেটের সব দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে কিছু তালা খোলা হলেও পুরো দখলমুক্ত করতে ভুক্তভোগীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে পুরো মার্কেট দখলের হুমকি দেওয়া হয়।

আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় মার্কেটের মূল গেটে ইউনিয়ন অফিসের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল পাকাপোক্ত করা হয়েছে। এরপর গোডাউন থেকে সার সরিয়ে নেয়ার চাপ দেওয়া হয়, কিছু সার নষ্টও করা হয় এবং সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি জানান, সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা সরে পড়ে, তবে মূল গেট, একটি দোকান ও খোলা জায়গা এখনো তাদের দখলে রয়েছে, যেখানে বিএনপির ইউনিয়ন অফিসের সাইনবোর্ড ঝুলছে। ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন বলেন, আমি দখলবাজির সাথে সম্পৃক্ত নই। দখলের বিষয়টি আমার জানাও নাই। রেজা খান ইউনিয়ন সভাপতি হিসেবে অফিস ঘর করে উদ্বোধনের জন্য ডেকেছিল তাই গেছি।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল খান রেজা বলেন, আমি দোকানটা আমার ভাতিজি জামাইয়ের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। সেখানে ইউনিয়ন বিএনপির অফিস করেছি। তাই অফিসের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এখানে দখলবাজি বা চাঁদাবাজির যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা কোনভাবেই সঠিক নয়।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ইতিপূর্বে ওই ব্যবসায়ীকে ডেকেছি, বসার আয়োজন করলে তিনি শুনেন না। উনি উনার মতো করে চলতেছেন।



banner close
banner close