রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতুর প্রশস্ততা বাড়াতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:২৭

শেয়ার

সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতুর প্রশস্ততা বাড়াতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ
ছবি: বাংলা এডিশন

যমুনা বহুমুখী সেতুর রেল লেন সংস্কার ও সড়কপথ সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন এবং ভবিষ্যতে একটি অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এ কাজে দায়িত্ব পেয়েছে আইইউটি-ডেভকন জয়েন্ট ভেঞ্চার। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়, যার মূল্য প্রায় ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস ও আইইউটি-ডেভকন জয়েন্ট ভেঞ্চারের পক্ষে অধ্যাপক ড. শাকিল মোহাম্মদ রিফাত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ২১ মাসের মধ্যে সমীক্ষা, নকশা প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

চুক্তির আওতায় সেতুর ডেকের ওপর অবস্থিত উপাদানগুলো পুনর্বিন্যাস করে বর্তমানে ৬ দশমিক ৩১৫ মিটার প্রশস্ত দুই লেনকে ৭ দশমিক ৩০ মিটার প্রশস্ত একমুখী দুই লেনে রূপান্তরের জন্য কারিগরি পরামর্শ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি সমীক্ষা প্রতিবেদন, নকশা, দরপত্র দলিল প্রস্তুত ও নির্মাণকাজ তদারকিতে সহায়তার দায়িত্বও পালন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, নতুন রেলসেতু চালুর পর যমুনা সেতুর মূল কাঠামোর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। এখন রেল লেন সংস্কার ও সড়কপথ সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। একইসঙ্গে বিদ্যমান সেতুর পাশে একটি নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। এতে সম্ভাব্য স্থান, কারিগরি চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক প্রভাব এবং পরিবেশগত দিকগুলো বিশ্লেষণ করা হবে।

১৯৯৮ সালে চালু হওয়া যমুনা বহুমুখী সেতুতে রেল সংযোগের জন্য সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে আনা হয়েছিল। সম্প্রতি ৩০০ মিটার উজানে আলাদা রেলসেতু চালু হওয়ায় বিদ্যমান বহুমুখী সেতু থেকে রেলপথ সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। পরামর্শক নিয়োগের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।



banner close
banner close