চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় মোহাম্মদ মুরাদ নামের চালকের সহকারী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও নয়জন।
রবিবার ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হেল্পার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং মুসলিমপাড়ার জামাল হোসেনের পুত্র।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সৌদিয়া পরিবহনের একটি এসি বাস ভোরে কাভার্ড ভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মুরাদ নামে একজন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে দু’জনকে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া থানার চকবাজার এলাকার সাইদুল ইসলাম, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার কম্বলনগরের আব্দুল মোমেন, লক্ষ্মীপুরের নন্দনপুরের নুর আলম, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ার সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ইউনিয়নের আব্দুল কাদের ও মিজানুর রহমান, দিনাজপুর সদরের সোহেল রানা, শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার রিপন মণ্ডল এবং মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার রবিউল হোসেন। তারা সবাই ঢাকায় এসিআই ফুডসে চাকরি করেন।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যানটি দাঁড়িয়ে ছিলো। বাস ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে কিছু সময় যান চলাচল ব্যাহত হলেও হাইওয়ে পুলিশের প্রচেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসকে সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
আরও পড়ুন:








