রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

উৎসবের নগরী কক্সবাজার: বালিয়াড়ি ও নোনাজল আনন্দে মেতেছেন পর্যটকেরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩২

শেয়ার

উৎসবের নগরী কক্সবাজার:
বালিয়াড়ি ও নোনাজল আনন্দে মেতেছেন পর্যটকেরা
ছবি: সংগৃহীত

সাপ্তাহিক ছুটি ও শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে লোকে লোকারণ্য কক্সবাজার। পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও আশপাশের পর্যটন স্পটগুলো। বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে নোনাজল সবখানে মানুষ আর মানুষ। এসব মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে মেতেছেন আনন্দ-উল্লাসে। তাতে, সাগরতীর পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে।

শনিবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে নোনাজল, সবখানে মানুষ আর মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে এসব মানুষ।

শুধু সুগন্ধা পয়েন্ট নয়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবনী, শৈবাল, কলাতলী সব পয়েন্টে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। ভ্রমণে এসে এসব মানুষ মেতেছেন নোনাজলে সমুদ্রস্নান, জেড স্কী, বিচ বাইক ও ঘোড়ার পিঠে। একই সঙ্গে প্রিয় মুহুর্তগুলো বন্দি করছেন ক্যামেরার ফ্রেমে।

বিচ বাইক চালক রাসেল চৌধুরী বলেন, বিপুল সংখ্যক পর্যটক এখন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। এসব পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই পরিবার নিয়ে বিচ বাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে আমাদের ব্যবসা হচ্ছে। কারণ শুক্রবার পর্যটক আসবে এই আশায় বসে থাকি আর পর্যটক এসেছে আয়ও হচ্ছে।

ঝিনুক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কামাল বলেন, পর্যটকরা বালিয়াড়িতে এসে দোকানে আসছে। তারা শামুক-ঝিনুক, পার্লের সামগ্রী কেনাকাটা করছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টাকার ওপরে বেচাবিক্রি হয়েছে।

সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মো. রুহুল আমিন বলেন, লাখেরও বেশি পর্যটক এখন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। তাদের বেশির ভাগ পর্যটকই সমুদ্রস্নান করছে। কিন্তু সাগর উত্তাল, ঢেউয়ের তীব্রতাও বেশি। এতো মানুষের নিরাপত্তা দেয়া মুশকিল। তারপরও ৩টি পয়েন্টে সার্বক্ষনিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চেষ্টা করে যাচ্ছি, সমুদ্রস্নানে পর্যটকদের নিরাপদে রাখা।

এদিকে সেন্টমার্টিনে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পর্যটন মৌসুম। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।



banner close
banner close