পটুয়াখালীর বাউফলে ইউএনও আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নুরই আয়েশা সুচিকে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাউফল আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে এই আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট প্রকাশ ও মতবিনিময় সভার আড়ালে ইউএনওকে স্বাগত জানানো হয়।
দুপুর ১টা থেকে শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় মূল ফটকের সামনে। বিকেল ৩টায় ইউএনও ও তার স্ত্রী বিদ্যালয়ে পৌঁছালে প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম স্বাগত জানান হাতে কুলা নিয়ে, গোলাপি শাড়ি পরে। কাকতালীয়ভাবে ইউএনওর স্ত্রীর পরনেও ছিল গোলাপি শাড়ি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ক্লাস চলাকালে এমন আয়োজন আগে কখনো হয়নি। শিক্ষার্থীদের দিয়ে গান-নাচ পরিবেশন করানো হয়, ইউএনও ও তার স্ত্রীকে ফুল ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের হালকা নাস্তা দেওয়া হলেও, ইউএনও দম্পতিকে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে।
প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেছেন, “অতিউৎসাহী হয়ে করেছি, যদি ভুল হয়ে থাকে—ভুল করছি।”
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার জানান, জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে এবং ইউএনওকে সতর্ক করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, ভিআইপির আগমনে শিক্ষার্থীদের সড়কে দাঁড় করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও তা অমান্য করে এই আয়োজন ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্থানীয় পর্যায়ে।
আরও পড়ুন:








