কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক। তবে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা এ সড়ক বর্তমানে কাদা, খানাখন্দ আর জলাবদ্ধতায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের অল্প কিছু জায়গায় ইটের অস্তিত্ব থাকলেও অধিকাংশ অংশ ভাঙাচোরা ও কাদায় ভরপুর। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি, অনেকটা মিনি পুকুরের মতো রূপ নেয়। ফলে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ বালুর বস্তা ফেলে কোনো রকমে চলাচল করছে। রাস্তা সরু হয়ে পাশের জমির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। কিছু জায়গায় পাশের নালা থেকে কচুরিপানা এসে সড়কটি দখল করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাইম বলেন, প্রায় ১৮ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আংশিক উন্নয়ন করলেও এরপর আর কোনো কাজ হয়নি। সম্প্রতি কিছু মাটি ফেলা হলেও বর্ষায় ধুয়ে গিয়ে তা কাদা হয়ে গেছে।
এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার মানুষ ছাড়াও শত শত শিক্ষার্থী পেকুয়া সরকারি জি এম সি ইনস্টিটিউশন ও স্থানীয় স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সবাই।
স্থানীয় মিজান জানান, সর্বশেষ ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে এবং পরে জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম আংশিক ইট বসিয়ে সংস্কার করেছিলেন। কিন্তু আজও পুরো সড়কটির সংস্কার হয়নি।
৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য জায়তুনেচ্ছা বিজু বলেন, এ সড়কের বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তিনি বরাদ্দ দিলে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো।
এ বিষয়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম বাহাদুর শাহের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী সৌরভ দাশ বলেন, আবেদন করলে বিষয়টি বিবেচনা করে প্রকল্প এলে সড়কটির উন্নয়ন করা হবে।
আরও পড়ুন:








