পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলিপুর মৎস্য বন্দরে কালো পোয়া নামে একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৪ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছটি প্রতি কেজি ১৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে মাছটি আলীপুর মৎস্য বন্দরে বিক্রি হয়। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না। মাছটি দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
জানা গেছে, মাছটি মনি ফিস আড়তে নিলাম ডাকে ‘ফ্রেশ ফিস কুয়াকাটা’র স্বত্বাধিকারী মো. মুসা কিনে নেন। তিনি মাছটি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করবেন বলেও জানিয়েছেন।
স্থানীয় জেলেরা মাছটিকে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও চেনেন । আন্তর্জাতিক বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে এ মাছের বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডার চীনা ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বলে এর দাম অনেক বেশি।
সমুদ্র প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কালো পোয়া বা কালো দাগ পোয়া (Black Spotted Croaker) জাতীয় মাছকে সাগরের সোনা বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Protonibea দিয়াচান্থুস; বাংলাদেশে এই মাছকে স্থানীয়ভাবে কালা পোমা/ পোয়া নামে ডাকা হয়। এরা ভারত মহাসগর, অষ্ট্রেলিয়া, প্রশান্তমহাসাগরীয় উপকুলীয় অঞ্চলের কাদামাটির সর্বোচ্চ ৬০ মিটার বা ১২০ ফিট গভীর এলাকায় পাওয়া যায়। এই মাছে বায়ু থলি (Air Bladder) এর খুব উচ্চ মুল্য; এই বায়ু থলি দিয়ে বিভিন্ন মেডিসিনাল/ ঔষাধি পন্য (কসমেটিক সুতা, মেয়েদের প্রসাধনী ইত্যাদি) তৈরি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পৃথিবীর দামীয় পানীয় / ওয়াইন ” স্কস” এর মানদন্ড পরীক্ষায় এই বায়ু থলি ব্যবহার হয়ে থাকে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বাংলাদেশে সচরাচর ধরা পড়ে না, তবে সুন্দরবন এলাকায় কিছুটা পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ ২৫ কেজি পর্যন্ত ওজনের কালো পোয়া ধরা পড়েছে বলে রেকর্ড রয়েছে। সাম্প্রতিক ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফলেই জেলেরা এখন বেশি মাছ পাচ্ছেন, এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
আরও পড়ুন:








