নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকরে উঠছে প্রশ্ন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ।
বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আদালতের মতো কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা থেকেও পালিয়ে গেছে জোড়া হত্যা মামলার এক গুরুত্বপূর্ণ আসামি। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে গোটা আদালতপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সৃষ্টি হয় তীব্র অস্বস্তি।
পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম রফিকুল ইসলাম (৪০)। তিনি বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় নছির আকন্দের ছেলে। তিনি শ্বশুর ও পুত্রবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার অন্যতম আসামি।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজিরা দিতে জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। হাজিরা শেষে তাকে আবার কারাগারে নেওয়ার সময়, আদালতের গেটের সামনে কৌশলে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যায় সে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের মতে, আদালতের মত সংবেদনশীল এলাকায় এ ধরনের ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম দুর্বলতা ও দায়িত্বে অবহেলার ফল। ঘটনার পরপরই আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং চিরুনি অভিযান শুরু করা হয়, তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জেলার জিয়ানগর এলাকায় কয়েক মাস আগে ঘটে যাওয়া একটি ডাকাতি ও জোড়া খুনের মামলায় রফিকুল ছিল অন্যতম অভিযুক্ত। পলাতক আসামিকে ধরতে ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর আদালতপাড়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ফুটপাত দখল করে থাকা ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট ও জনসমাগম নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দীর্ঘদিনের উদাসীনতারও অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর ইঙ্গিতও মিলেছে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র থেকে।
এমন ঘটনায় আদালতপাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উঠেছে বড় প্রশ্ন। সাধারণ মানুষ ও সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:








