গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শিউলী বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ফরিদ উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
রবিবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মো. বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শনিবার রাতে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কাটাবাড়ী গ্রামের বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিউলী ফরিদের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাদের সংসারে একটি আট বছরের ছেলে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই ফরিদ নানা অজুহাতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে ফরিদ শিউলীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। পরে খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ রাতেই বাড়ির পাশের কলাবাগান থেকে শিউলীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী ফরিদ উদ্দীনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:








